মুক্তচিন্তা বা মুক্তবুদ্ধি এবং আপনার করণীয়।
লিখেছেন লিখেছেন আমীর আজম ২৬ এপ্রিল, ২০১৪, ০৭:৪২:২০ সন্ধ্যা
বেশ কয়েকদিন আগের কথা। দেশের একজন বিখ্যাত লোক মারা গেছেন। আমি ওনার নাম বলব না। কারণ ওনাকে অসম্মানীত করা আমার উদ্দেশ্যে নয়।
পেপার পত্রিকা ছেয়ে গেছে ওনার স্মৃতিচারণ মূলক লেখায়।
এক পত্রিকায় ওনার স্ত্রীও একটা কলাম লিখেছেন। শুরুটা এরকম : 'আমার স্বামী একজন খুব ভাল মানুষ ছিলেন। '
শুরুটা পড়ে একটু নড়েচড়ে বসলাম। একজন মানুষের সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে তার স্ত্রী। তাই তার সম্পর্কে সবচেয়ে ভাল জানে তার স্ত্রী। কারও স্ত্রী যদি বলে আমার স্বামী খুব ভাল মানুষ ছিলেন, তাহলে বুঝতে হবে অবশ্যই তিনি ভাল মানুষ। আর যদি বলে আমার স্বামী ভাল না, তাহলে বুঝতে হবে অবশ্যই তিনি ভাল না।
তাই বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়া শুরু করলাম, দেখি তার কি ভাল গুণ ছিল।
যা পড়লাম : ও কখনোই আমার কাছে কিছু লুকাত না। ছোট বেলা এখন পর্যন্ত যা কিছু করেছে সবকিছু আমাকে বলত। এমন ভাল মানুষ আমি খুব কম দেখেছি। কোনদিন আমার সাথে রাগ করে কিছু বলেনি। তারপর বিয়ের আগে কতগুলো রিলেশন করেছে, কার কার সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন করেছে, এমনকি লন্ডনে গিয়ে কাদের সাথে লিভ টুগেদার করেছে, সব কিছুই আমাকে বলত। ভাবতে পারেন কত বড় মনের মানুষ হলে এসব কথা অকপটে স্বীকার করা যায়।
এ পর্যন্ত পড়ার পর আতকে উঠলাম। হায় হায় কয় কি এই লোক যদি ভাল মানুষ হয়, তাহলে খারাপ মানুষ কে ??
আমি শিওর লোকটা যদি বেচে থাকত আর তার স্ত্রী মারা যেত, তাহলে তিনিও বলতেন, আমার স্ত্রী খুব ভাল ছিলেন। সে কার কার সাথে ............ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা।
এই রকম লোক গুলোকে চিনেন.? এদেরকে বলা হয় মুক্তমনা। আর এরা যে সংস্কারের কথা বলে তাকে বলা হয় মুক্তচিন্তা বা মুক্তবুদ্ধি।
এরকম কোন মুক্তচিন্তা বা মুক্তবুদ্ধির দরকার আমাদের সমাজে নাই।
তাই কেউ যদি মুক্তবুদ্ধির বয়ান নিয়ে আপনার কানের কাছে প্যাকপ্যাক করতে আসে, তাহলে তার দুপাটি দাঁতের মধ্য থেকে কমপক্ষে একটা দাঁত নাই করে দিবেন। যদি একের অধিক করে দিতে পারেন, তাহলেও ব্যাপারটা মন্দ হবে না।
বিষয়: বিবিধ
৯৭৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সোবহানাল্লাহ্। এদের কথা না জানলে অনেক হাদীসের অর্থ ও উদাহরন মানুষ হয়তো বুঝতেই পারতোনা, জানতেই পারতোনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন